২০ জুলাই, ২০১২

বিপাশা

আনমনা আনোয়ার

রুচিকর তো অবশ্যই সভ্য সমাজ কর্তৃক অনুমোদিত
প্রকৃতিসিদ্ধ অন্তর্নিহিত বাসনা,মুচকি হাসি,
নব্বই ডিগ্রী কোনাকার নির্লোভ নিস্পলক দৃষ্টি,
দুঃসহ ফারেনহাইট উষ্ণতার শারীরিক পরশ
এবং ওজনহীন কয়েকটি চুমু ;
যাদের দৈর্ঘ প্রস্থ নেই মাগার গভিরতা আছে ......
একেই যদি বলো প্রেম কিংবা ভালোবাসা
তবে একটিবার কেবল ভেবে দেখো
কি সর্বনাশ করেছো তোমার,তুমি বিপাশা
সর্বাঙ্গে মেখে রাজ্যের যত হতাশা ।

১০ সেপ্টেম্বর, ২০১১

গাও দেশাত্ববোধক এই গান

আনমনা আনোয়ার

বীর জনতা নূতন চেতনায়
হও দ্বীপ্তিমান
ভন্ড রাজনৈতিকদের বিভ্রান্তি আর ফাঁকাবুলি
করো এবার দৃঢ়তার সাথে প্রত্যাক্ষান ।
উচ্চকিত কন্ঠে তোল,সাহসী এই আহ্বান -
ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে রাঙানো
সোনার এই বাঙলায় ;
না,চাইনা -
মেধাহীন অদূরদর্শী উত্তরাধিকারের রাজনীতি
না,চাইনা -
যুক্তিহীনতা,প্রতিহিংসা-হানা-হানি আর
যেনো-তেনো প্রকারে ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি ।
একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়
সবুজ-শ্যামলীমায় ঘেরা উর্বর ভূমির এই বাঙলায়
চাই -
মেধাবী দূরদর্শী রাজনৈতিক নেতৃত্ব
চাই -
রাজনীতিতে সার্বজনীন যুক্তির স্থায়ীত্ব
চাই -
প্রতিহিংসা-হানা-হানি আর যেনো তেনো প্রকারে
ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতির চির অবসান ।
সংগ্রামী জনতা,রাহুমুক্ত স্বাপ্নিল বাঙলাদেশের জন্যে
সম্মিলিত কন্ঠে একটি বার শুধু
গাও দেশাত্ববোধক এই গান ।

২৫ এপ্রিল, ২০১১

গতকাল রাতে

আনমনা আনোয়ার

দেশময় আজ লুপ্ত প্রায় জাগ্রত বিবেক
চতুর্দিকে তাই বাতাসে ওরে
হতাশা,উৎকণ্ঠা এবং উদ্বেগ।
যুক্তিকে এগিয়ে দিয়ে
অযৌক্তিকতাকে ঠেলে পাশে
যাবতীয় স্মৃতিগুলো ঘেটে দেখি
অতীত কৃতকর্মের অজস্র ভুল
চোখের সম্মুখে ভাসে।
গতকাল রাতে অনেক্ষণ তাই
বোধের আগুনে পুড়িয়েছি মন
সেই থেকে কেমন জানি
অন্যরকম লাগছে এ ভুবন।
ভুলগুলো সব তেঁতো লাগছে
পাপ গুলোর প্রতি জন্মেছে ঘৃণা
মনে হচ্ছে - 
সত্য-সুন্দরের পথ ছাড়া বাচিবইনা।

২৪ এপ্রিল, ২০১১

বিধুনন,আমাকে তোমার করে নেও

আনমনা আনোয়ার
তুমি শুধু আমাকে তোমার করে নেও
শারীরিক সৌন্দর্য-সৌকুমার্যের সমর্থন নেবো না;
ছোঁব-তোমার ব্যতিক্রমি জীবন যৌবনকে
তোমার সংস্কৃতি মনস্কতাকে
তোমার নিষ্কলুসতাকে।

            তুমি শুধু আমাকে তোমার করে নেও
বিত্ত-বৈভব-বিলাসিতার স্পর্শন নেবো না;
ছোঁব-তোমার স্পষ্টবাদীতাকে
তোমার যুক্তিশীলতাকে
তোমার সহনশীলতাকে।

তুমি শুধু আমাকে তোমার করে নেও
জীবন সংহারি কোনো কিছুর সার্নিধ্য নেবো না;
ছোঁব-তোমার প্রগতিশীলতাকে
তোমার প্রজ্ঞাকে
তোমার ব্যক্তিত্বকে।
  
বিধুনন,তুমি যদি আমাকে তোমার করে নেও
মেঘ না চাইতে জল পাওয়ার মতো
একই সঙ্গে হাতে পেয়ে যাবো
আধুনিকতা ও বিশ্বমানবতা;
জেনে যাবো পৃথিবীতে আগমনের হেতু,
নির্ভয়-নিঃশঙ্ক চিত্তে তখন
দায়িত্ব নেব শ্বাশ্বত সুন্দর আগামীর।

২৩ এপ্রিল, ২০১১

কেনো এতো অবসাদ,তোর চোখে

আনমনা আনোয়ার

ঈশ্বর ও ইবলিস দ্বৈত শাসক মনের
আপন ধীগুনে আমরা তাদের করি বন্দনা
কি,ঠিক বলিনি -ডাগর নয়না ?
ঈশ্বর -অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা,অন্তর্যামী,করুনাকর...
যাঁর কাছে সমর্পিত ভালোলাগা-ভালোবাসা মোর ;
ইবলিস -অর্থাৎ পাপাত্মা,পথভ্রষ্টা,প্রতারক...
যার কাছে পরাজিত তুই !
আমি হারিনি লাজুক লতা -
কিন্তু কেনো এতো অবসাদ,তোচোখে !
ও চোখে মানায় না যা ।
তবে কি, হুতাশনে পুড়ে হয়নি শেষ
তোর মনস্তাপ আজো !!

রাশি চক্রাবৃত্তে তুমি


আনমনা আনোয়ার

জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে সাতই নভেম্বর জন্ম বিধায়
জন্ম সংখ্যা সাত তোমার,শুভ সংখ্যা নয়;
বৃশ্চিকের জাতক তুমি
সত্য প্রকাশে পাওনা ভয় ।
সৃজনশীল ,মেধাবী ,আত্ববিশ্বাসী তুমি
আছে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা
সহজে তাই বুঝতে পারো মানুষকে
বুঝতে পারো তাঁর পরিবেশ পারিপার্শ্বিকতা ।
সর্বদা কুশলী তুমি
ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকো সর্বাত্মক
ক্রোধের চেয়ে তোমার
মৌনতাই বেশি মারাত্মক ।
অধ্যাত্মবাদী তুমি,তোমার আছে
জীবন জগৎ সম্পর্কীত দূরদৃষ্টি
ইছ্ছে করলেই সারাজাগাতে পারো
করে সাহিত্য সংস্কৃতির কৃষ্টি ।
বৈচিত্রময় প্রেমিক তুমি
অতিমাত্রায় বন্ধু বাৎসল ও সেন্টিমেন্টাল
শুভ রং তোমার -
সাদা,হলুদ,ফিরোজা,লাল;
শুভ রত্ন -
এমেথিস,নীলা,রক্ত প্রবাল ।
শাসক গ্রহ তোমার মঙ্গল ও নেপচুন
পোষাকি কিংবা বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়
তোমাকে প্রভাবান্বিত করে
রমণীর অতলান্ত মানবিক গুণ ।
বড়বেশী দুর্বোধ্য তুমি,তোমার
জীবনের নানাক্ষেত্রে আছে অনাসৃষ্টি
ভয় নেই,পঙ্কীলতা থেকে নিজেকে উদ্ধার করে
তুমিই করতে পারো অনন্য নজির সৃষ্টি ।


শিল্প নির্মাণ

          আনমনা আনোয়ার
     
শ্বাশ্বতিক ইতিহাসের সহিত সম্পর্কিত তুমি
তোমার ভেতরে গড়েছে বসত
বংশ পরস্পরা নানা অভিজাত অভিজ্ঞান;
তাই যতই সম্মুখে অগ্রসর হও
           তত হও উন্মোচিত,
উন্মোচিত হয় তোমাস্তিত সভ্যতার পুরাতত্ত্ব ।
সভ্যতার সেই পুরাতত্ত্ব মাঝে বসে -
ভাব-বিহ্বলতায় একান্তে যখন
তুমি নিজেই নিজের স্বকীয়তার সমীকরণ টানো
বিষয় বৈচিত্রে শব্দ-ছন্দে উৎপ্রেক্ষা-উপমায়
তখন-ই হয় কাব্য,অপূর্ব বিস্ময়ে
তাই হয় অমর-অক্ষয় শিল্প ।

যখন একলা থাকি

         আনমনা আনোয়ার

যখন একলা থাকি,মন থাকে উচ্ছল
তোকে মনে পরে
ঢেউয়ে ঢেউয়ে নূপুরের ঝঙ্কারে স্বপ্ন বুনি
আজো  বোঝতে পারোনি ।
যখন একলা থাকি,শূণ্যতা করে ভর
তোকে মনে পরে
প্রকৃতির অবারিত সবুজে তোকে দেখি
ওরে স্বপ্ন বিহঙ্গিনি ।
যখন একলা থাকি,বোবা আঁধারে ঘুরি ফিরি
তোকে মনে পরে
তখন নিলাম্বরী তারার মেলায় দুঃখ করি ফেরী
ওরে দুঃখ কুড়ানি ।

আজ তাই

আনমনা আনোয়ার

স্বপ্ন বিহ্বলাদের কক্ষচ্যুতি দেখে দেখে
স্বপ্নপুরী যখন হতবিহ্বল
তোমার স্বপ্নও তখন যাত্রা দিয়েছে
দূর অস্তাচল;
পরিণত আবেগ ছিলো,ছিলো অনুভূতি
সাধও ছিলো কেবলমাত্র সাধ্য ছিলো না
বারণ করিনি তাই,করজোড়ের পিরিজে
উপস্থাপন করিনি মায়াবী অনুরোধ;
অভিমানে ঢেকেছি শুধু -
          ভালোবাসা এবং ক্রোধ।
আজ তাই আমাকে ঘিরে আছে
বর্ণিল স্বপ্নের সতেজ হিরন্ময় রোদ,
আর সে রোদে নাইতে এসে
            থমকে দাঁড়ায় না কারো বিবেক বোধ।

আজ সে পেয়ে গেলো

আনমনা আনোয়ার

সংকল্পে দৃঢ় এবং বিশ্বাসে স্থির
তটিনীর  মতো চলমান
খ্যাতি-ক্লেশ-কোলাহল-নির্জনতা নিয়ে
মেঘের মতো যার অভিমান
নিসর্গের মতো উদার হৃদয়ের অন্তরীক্ষ;
পর্বত সম উচ্চতার সাহস
ঝর্ণার মতো চিত্ত চাঞ্চল্য আর
ফুলের মতো পবিত্রতা নিয়ে
বাতাসের মতো অরুদ্ধ-অবাধ জীবন যার
আজ সে পেয়ে গেলো
জীবন নদীতে ঢেউ তোলার
সীমাহীন অধিকার ।

রাত্রি অনুভব

আনমনা আনোয়ার

রাত্রি হলো অস্থির চিন্তার মত
ক্ষিপ্রতায় এগোনোর বাধা;কুহেলিকা জীবনের,
রাত্রি হলো ভবিষ্যত সময়ের মতো
নিকষ-কালো আঁধার;ভয়ঙ্কর এবং অনিশ্চিত।
রাত্রি হলো ভ্রাম্যমান কিছু স্বপ্নের মতো
জোছনার মায়াবী ইন্দ্রজাল;অনুভবে নেয়া যায় ছোঁয়া যায় না,
রাত্রি হলো মানবাধিকার ফোরামের মতো
জাগ্রত বিবেক;প্রজ্ঞার খেয়ালে জেগে ওঠা চর।

রাত্তিরে যা ভাবি
রাত ফুরোলেই তা অন্য রকম হয়
বলো দেখিন পূনর্বার
এ জ্বালা কি প্রাণে সয়।

বিপন্ন স্বপ্ন কূয়াশা ছড়াক,যাই

         আনমনা আনোয়ার

পথে দাঁড়িয়ে অথচ পথিক হবোনা
তা না ঠিক; না যুক্তি-যুক্ত
তার চেয়ে পথ ছেড়ে যাওয়াই বরং ভালো
আর যাবোই যখন
মেঘ মগ্ন হয়ে যাওয়াই ভালো
থাকে যদি থাক কিছুটা অপ্রাপ্তি-শূণ্যতা।
আমাবশ্যার মায়াবী আঁধার
নীশুতি পোকার ঝি-ঝি ডাক
স্বভাবি শেয়ালের আফ্ফালনে
বিপন্ন স্বপ্নগুলো কূয়াশা ছড়াক;
বোধি ভোরের রক্তিম আভায়
অনূভব-অনূভুতিতে পোড়া স্বপ্নগুলো
উরুক আবার নতুন চেতনার ডানা মেলে
সৌজন্যতাটুকু থাক
চির চেনা কিন্তু অদেখা-অজানা।
যাই -অপ্রয়োজনে
সম্পর্কের ছিটে-ফাটা ছুড়ে দিয়ো জলে
যাচ্ছি -প্রয়োজনে
নিঃসঙ্গতায় ডেকো প্রাণের টানে
গেলাম -অনুরোধ
স্বাপ্নিল চোখের চঞ্চলতা যেন না যায় থেমে
যাই -
প্রকৃতির অবারিত সবুজ আমাকে ডাকছে
যাচ্ছি -
সমুদ্রের বিশালতা আমাকে ডাকছে
গেলাম -
ভালো থেকো বন্ধু
যার জন্য এতো আয়োজন....

নীরব প্রেম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

আনমনা আনোয়ার

নির্বোধ মেয়ে শোন
এখন না বুঝতে চাস
               না বোঝ
কেমন তরো হে -
নীরব প্রেম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া;
যাবতীয় সব দুঃখ লয়ে
ধরণীরে যবে প্রাণ যাব উৎসর্গীয়া
তোর তরে রাখি
ঘৃণা ঘৃণা আর ঘৃণা
বুঝবি সেদিন হৃদয়হীনা।

লাবন্যকে

আনমনা আনোয়ার

ক্ষণস্থায়ী জীবনের বন্ধুর পথে
সাংসর্গিক নানাবিধ সাহায্য সহানুভূতি ভিন্ন
কি চায় মানুষ মানুষের কাছে
বলতে পারিস -
কোথায় ভর করে গড়ে ওঠে সম্পর্ক
             মানুষে মানুষে;
বিশ্বাসের উপর নিশ্চয়ই ...
তাই নয় কি ?
তুই হেনেছিস আঘাত বিশ্বাসে মোর
সে কারণেই আমাদের সম্পর্কের ব্যবধান
আজ  এতো দূর !

অন্য দৃষ্টি হও

আনমনা আনোয়ার

বিনির্মানের বন্ধুর পথে যেখানে দেখিবে খাদ
সেখানটাতে বাজাও তুমি সৌকুমারযের শঙ্খ ত্রিনাথ,
প্রবাহমান সমাজে যেখানে দেখো মানবতার ঘাটতি
সেখানটাতে ফলাও তুমি মানবিক আর্তি
পঙ্কিল সমাজের যেখানে পাবে অন্যায়-অবিচার
সেখানটাতে তুমি যেন হও নিজেই প্রতিকার,
চিন্তার বেলায় যেখানে দেখবে পশ্চাদ্পদতা কুসংস্কার
যুক্তি,বিশ্লেষনি ক্ষমতায় তোমার নাম হোক সংস্কার।
অনুপ্রাণিত-অনুরণিত হয়ে কোন ধারণাকে কোর না স্বতঃসিদ্ধ
পাঠের একাগ্রতায় প্রকৃত বাস্তবতা,প্রকৃতিকে গুলিয়ে হয়ে নিও ঋদ্ধ,
পরিসমাপ্তির নিবেদন তুমি অন্য দৃষ্টি হও
সৃষ্টিশীলতার ভেতর দিয়ে মানুষের কথা কও।

শৈল্পিক নিলাম

আনমনা আনোয়ার

ঠিক যেখানটাতে অপূর্ণতা আমার
যেখানে জমে-জমে আমি ব্যাথার পাহাড়,
সেখানে-ই তোমার কাছে হবো ঋণি
গানে-গানে ভরিয়ে দিয়ো তৃষ্ণার্ত হৃদয় খানি।
অতৃপ্ততা যদি থাকে কিছু নিও চেয়ে
বালখিল্যতা থাকবেনা দিতে শিল্প সম্মত মেয়ে;
এভাবে পরস্পরে ঋণে-ঋণে যখন আকণ্ঠ নিমজ্জিত
তিক্ষ্ণ অনুভবে হৃদয় যেন হয় আবেগে উদ্ধেলিত।
অনগ্রসর চিন্তার হীনমান্যতায় আমাদের বসবাস ক্ষুদ্র গন্ডিতে
আমলে রেখো শুধু প্রাপ্তিটা যেন পূঁজ না হয় সমাজ সন্ধিতে;
বিশাল লেনদেনে সামান্য এই মুচলিকা নিলাম
সৃজনশীলতার ভেতর দিয়ে অতঃপর হোক পারস্পরিক শৈল্পিক নিলাম।

এসো কিন্তূ মেয়ে

আনমনা আনোয়ার
(কবি যাকির সাঈদকে নিবেদিত)

দ্বিধা সংকোচ মাড়িয়ে
                 মন যদি চায়,এসো
করে নেব সময় কারণে-অকারণে
খুপির হবেনা শূন্যভাব ;
সাবধানেই করবো ক্ষণ
সাবধানের মার নেই-জানো বুঝি!
তবে এসো কিন্তূ মেয়ে -
এতে কিছু যায় আসেনা ইদানিং
আস্থায় নিসর্গে মুখ গুঁজে বসে আছি
কাব্যিক পৌরুষ নিয়ে ।

তুমি বরং

 আনমনা আনোয়ার

কে তুমি বুঝতে চাও বৃশ্চিকের কবিকে
তাঁর সামান্য সৃষ্টির মাঝে
ওভাবে হবেনা তোমার
শত চেষ্টা করোও যদি সকাল সাঁঝে।
তুমি বরং
জীবনের উল্টোপিঠে চরা রথে
ব্যতিক্রমী কোন পথে
              জাত সৈনিকের সাহস
              দরবেশের আত্মিক উষ্ণতা
              খুনির হিংস্র নৃশংসতা
আর প্রেমিকের যুগল আনন্দের
পেছনের শক্তিকে বোঝ বিচিত্র ভাবে
তবেই তাকে বোঝা যাবে।

১০ এপ্রিল, ২০১১

তোর অবহেলা নিয়ে

আনমনা আনোয়ার

বরংবার কন্ঠনালীতে আটকে যাওয়া
দু'টি মাত্র শব্দ -'ভালোলাগে,ভালোবাসি'
যা আলা জিহ্বা,জিহ্বা,দন্ত ও ঠোটের
সমন্বয়ে গড়া গল-গহবর সাহস করে
সুর দিয়ে বাজাতে পারেনি ;
কিন্তু,কি অপরাধ করেছিল
ওর চোখ,চোখের ভাষা -
তা কি স্পন্দন তোলেনি ভালোলাগার,
ওর আচার-আচরণ -
তা কি রং ছড়ায় নি ভালোবাসার,
ওর কবিতা -
তাও কি হাতছানি দেয় নি ভালোবাসার ?
তথাপিও কেন আজ মিছে লুকাতে চাস
এ সব নানাবিধ কথার আড়ালে।
কেউ না জানুক,তুই তো জানিস
বাহ্যিক মোহে বিত্তের মাঝে
সুখ খোঁজতে গিয়ে তুই-ই
বরণ করে নিয়েছিলি বিশ্বাস ঘাতকতাকে।
অন্যদিকে -তোর অবহেলা কাঁধে লয়ে
আজ  অবধি ও
বয়ে বেড়াচ্ছে নিঃসঙ্গতাকে ;
বলতে পারিস -বিশ্বাসের ভালোবাসায়
এ যুগে এমন চড়া মূল্যে
কে বিকোয় কাকে ?

০৪ এপ্রিল, ২০১১

নান্দনিকতায় ফোটা ফুল হুমায়ুন আজাদ


            আনমনা আনোয়ার

নারী -কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু,জ্বালো চিতাবাঘ
পেরোনোর কিছু নেই
যতোই গভীরে যাই মধু যতোই ওপরে যাই নীল
এমন তীক্ষ্ণ -তীব্র মাতাল অনুভব নিয়ে
নদী মাতৃক বিক্রমপুরের রত্নশোভিতা রাড়িখালে
উদ্ধত স্পর্ধা,ঘ্রাণ শক্তিতে জেগে ওঠা
কে তুমি সৃষ্টিশীল সংহারী কিংবা অন্ধকারে গন্ধরাজ ;
ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা - তাই
জলপাই রঙের অন্ধকারে বুকপকেটে জোনাকিপোকা জ্বেলে
ফালি ফালি ক'রে কাটা চাঁদ হাতে নিয়ে কতো নদী সরোবরে
অলৌকিক ইষ্টিমার কিংবা মাতাল তরণীতে মহাবিশ্ব ঘুরে
নিবির নীলিমা,প্রতিক্রিয়াশীলতার দীর্ঘ ছায়ার নিচে
আততায়ীদের সঙ্গে কথোপকথন সেরে মগ্ন চৈতন্যে
ঢালো শুভ্রব্রত,তার সম্পর্কিত সুসমাচার।
তদন্তর সব বিনীতের এই দেশে বহুহৃষ্ট মূর্তী ভেঙ্গে
আমার অবিশ্বাস,মানুষ হিসাবে আমার অপরাধ সমূহ বয়ানের পর
রাজনীতিবিদগণ,আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম সর্বজনীন জিজ্ঞাসায়
বেদনার হুতাশনে পোরা বিভৎস সৌন্দর্য বুনে
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল এর
সবকিছু ভেঙ্গে পরে থাকা অবয়ব থেকে
একটি খুনের স্বপ্ন'র ভিতর দিয়ে তুলে আনো
নিজের সঙ্গে নিজের জীবনের মধু !!
কে তুমি ক্লান্তিহীন শব্দ চাষা ?
তুমি -প্রাবন্ধিক...
           তুমি -কথাশিল্পী...
তুমি -ভাষাবিদ...
           তুমি -কবি....
না -না এইসব বিশেষণের কোনটাই তোমার জন্য পূর্ণাঙ্গ নয়
তাই,তুমি বহুমাত্রিক জ্যোতির্ময় ;
তুমি -প্রতিক্রিয়াশীলতার নিরর্থক নির্দেশ,প্রচলিত ভ্রান্তপ্রথা ভাঙ্গার শপথে উন্মাদ
তুমি -অপূর্ব নান্দনিকতায় ফোটা ফুল হুমায়ুন আজাদ।
তুমি -বাঙলার সক্রেটিস,জন্মেছো ভুল সময়ে
তোমার ভাষায় 'আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে'
দৃঢ় বিশ্বাস তুমি স্বকিয়তায় থাকবে সতেজ আলোকিত বলয়ে।